ডেস্কঃ স্বরাষ্ট উপদেষ্টা লে.জেনারেল মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আন্দোলনের পর এখন পর্যন্ত যারা পুলিশে যোগদান করে নাই তাদেরকে আর যোগদান করতে দেয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, ’যারা অপকর্মের সাথে জড়িত তাদেরকে কিছুতেই মাফ করা হবে না।’ বুধবার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার একাডেমিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪০তম বিসিএস (আনসার) ক্যাডার কর্মকর্তা ও ২৫তম ব্যাচ (পুরুষ) রিক্রুট সিপাহিদের প্রশিক্ষণ ও সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বক্তব্যদান কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, আনসার ও গ্রাম প্রতরিক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ
মাহমুদ, বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক, আনসার ও ভিডিপি একাডেমির ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট, উপ মহাপরিচালকবৃন্দ, বাহিনীর পরিচালকবৃন্দসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত
ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আনসার বাহিনীর গৌরবদীপ্ত ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন এবং একই সাথে তিনি জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে
স্বৈরাচার সরকার পতনে শহীদ সকল ছাত্র- জনতাকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি বলেন,
স্বৈরাচার সরকার পতনের পর বাংলাদেশ আজ নবজাগরণে উজ্জীবিত। বিগত সরকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণের হতে পারেনি বলেই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচার সরকার দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। এই গণঅভ্যুত্থানে আত্মাহুতি দিয়েছে আবু সাঈদ, মীর মুখ, ইয়ামিন ও ফাইয়াজদের মতো হাজারো ছাত্র-জনতা। আপনাদের নিকট আমার চাওয়া, দেশ ও জনগণের কল্যাণে আপনারা নিজেদের সপে দিয়ে সততা, নিষ্ঠা ও ন্যায্যতার মাপকাঠিতে কাজ করবেন। আপনাদের সকলের সহযোগিতায় বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে ইনশাআল্লাহ। জুলাই বিপ্লবের পর দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতির সময় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী জনজীবনে স্বস্তি ফেরাতে যে সাহসী ভূমিকা রেখেছে, সে জন্য বাহিনীর সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যখন ট্রাফিক, বিমানবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শূন্য হয়ে গিয়েছিলো, তখন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানে এগিয়ে এসেছে। বিশেষ করে আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ডিএমপির থানাগুলোর অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা
নিশ্চিত করেছে এবং হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে।বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ছয় জন বিসিএস কর্মকর্তা ও ৯০৮ জন রিক্রুট সিপাহী সমাপনী কুচকাওয়াজের মাধ্যমে তাদের জন্য নির্ধারিত মৌলিক প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করলেন। বিসিএস কর্মকর্তারা দীর্ঘ ১২ মাস মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্র্রহণ করেছেন এবং একই সাথে মাস্টার্স অব হিউম্যান সিকিউরিটি (এমএইচএস) কোর্স সম্পন্ন করেছেন। অপরদিকে রিক্রুট সিপাহিরা ৬ ছয় মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
আন্দোলনের পর এখন পর্যন্ত যারা পুলিশে যোগদান করে নাই তাদেরকে আর যোগদান করতে দেয়া হবে না, স্বরাষ্ট উপদেষ্টা
একই জাতীয় খবর