ডেস্কঃ
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিদ্যুতের ভোগান্তিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। তীব্র গরমে গত কিছু দিনের বিদ্যুতের অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কালিয়াকৈরবাসী।
একবার বিদ্যুৎ গেলে আর আসার খবর নেই। রাতের বেলায় সবচেয়ে বেশি লোডশেডিং দেওয়া হয়। রাতের বেলা একটানা ৫-৬ ঘন্টাও বিদ্যুত থাকে না। দিনের বেলায় চলে ঘনঘন লোডশেডিং, এক কথায় লোডশেডিংয়ের স্বর্গ রাজ্য হয়ে পড়েছে কালিয়াকৈর।
বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় গরমে রাতে ঘুমানো যায় না। বিশেষ করে লোডশেডিংয়ের কারনে বেশি কষ্ট হচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ ও অসহায় মানুষদের। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা বাণিজ্য , শিল্প কারখানাতে ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে।
অনেকে বিরক্তি প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করছে নানা রকম পোস্ট। অনেকে মানববন্ধন করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নিহার নামে এক ওয়েল্ডিং ব্যবসায়ী বলেন, অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারনে ব্যবসার অবস্থা খুব খারাপ, কোন কাজই ঠিক মত ডেলিভারি দিতে পারছি না, দোকানে কাস্টমারদের সাথেও এই নিয়ে অনেক ঝামেলা হচ্ছে, বিদ্যুতের ভোগান্তি আর সহ্য হয় না।
করিম নামে এক মুরগির খামারি বলেন, এমনিতেই তীব্র গরম এর মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকায় অনেক মুরগী মারা যাচ্ছে।
লাভলী আক্তার নামে এক নারী বলেন, আমার ছোট বাচ্চাকে গরমে বিদ্যুৎ না থাকায় সারা রাত কোলে নিয়ে হাত পাখা দিয়ে বাতাস করতে হয় তা না হলে কান্না করে, এভাবে জেগে থেকে ভোরবেলা আবার অফিসে যেতে হয় এখন আমিও অসুস্থ হয়ে পড়ছি। বিদ্যুতের একটা বিহিত হওয়া দরকার।
এ বিষয়ে কালিয়াকৈর পল্লী বিদ্যুতের ডি.জি.এম মুহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, গত কয়েক দিন আমাদের গ্রিডে সমস্যা হওয়ায় লোডশেডিং বেশি হচ্ছে, আর রাত বারোটা বা একটার পর লোড শেডিং হয় না ট্রিপ করে অর্থাৎ লাইন অটো বন্ধ হয়ে যায়, লাইনে কোন সমস্যা হলেও এমনটা হয় তখন আবার লাইন চালু করতে হয়।