পৌর প্রতিনিধিঃ সব সমাজেই কিছু ভাল মানুষ মিলে দায়িত্ব নেয় সমাজকে নতুনভাবে গড়ে তোলার। আর এই সামাজিক সংগঠনগুলোর মাধ্যমেই শুরু হয় সমাজ সংস্কার, হয় মানবতার কল্যাণ। তেমনিভাবে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর পৌরসভায় একদল উদ্যোমী তরুণ মিলে শুরু করেছেন ব্যাতিক্রমধর্মী একটি সামাজিক সংগঠন যার নাম “ পুণ্যবান সংগঠন” অর্থাৎ পুণ্যবানদের পুণ্য কাজের সংগঠন।
এই সংগঠনের নেতৃত্বে আছেন চীন থেকে উচ্চশিক্ষা শেষ করে দেশে আসা এন এইচ অনিক চৌধুরী। সংগঠনটি নিয়ে তার বিস্তারিত পরিকল্পনা তুলে ধরে কালিয়াকৈর২৪ কে তিনি বলেন, সকলের দোয়া এবং ভালবাসায় আমরা আমাদের এই সংগঠনটির যাত্রা শুরু করেছি। দিন বদলের সাথে সাথে মানসিকতার বদলের চেষ্টায় কাজ করে যাচ্ছে আমাদের এই সংগঠন। আমাদের এই সংগঠনটির প্রতিপাদ্য বিষয় মানুষের কল্যাণ সাধন। আমাদের দেশের সরকার আমাদের দেশের উন্নয়নে অবিরত কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু তবুও অনেক কাজের মাঝে কিছু মানুষ বঞ্চিতই থেকে যায় কিছু কাজ বাকি থেকে যায়, আর এই কাজ গুলোকে এবং এই পিছিয়ে পড়া মানুষদেরকে নিয়েই আমাদের সংগঠন। আমাদের সংগঠনে আমরা আপাতত শিক্ষা, আইন, খাদ্য, কর্মসংস্থান এই চারটি বিভাগ নিয়ে চালু করতে যাচ্ছি। ১। শিক্ষাঃ এই বিভাগের উদ্যোগে মাদ্রসায় এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে এতিম এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে শিক্ষা সুনিশ্চিত করা হবে। আমাদের কাজে সহায়তা করার জন্য আহমদ আলী দারুল কোরান মাদ্রসা এবং এতিমখানা ইতোমধ্যে সম্মতি প্রকাশ করেছে। ভবিষ্যতে আল্লাহ্চাইলে আরও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও সম্মতি জানাবে। তাছাড়াও আমাদের এই সংগঠনকে সহযোগিতা করতে স্মার্ট গ্লোবাল এডুকেশন প্রতিবছর বেশী কিছু বৈদেশিক বৃত্তি প্রদান করবে যেখানে ছাত্র ছাত্রীদের জন্য থাকবে বিনা মূল্যে থাকা, পড়াশোনা ও মাসিক ভাতা। ২। আইনঃ আমাদের দেশে আইন এত জটিল, যেকোনো অল্প শিক্ষিত বা অশিক্ষিত মানুষ সঠিক পথ না জানলে চরম ঝামেলার শিকার হতে পারে। তাছাড়া বাজারে ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা, ভেজল খাদ্য রোধ, মজুদ খাদ্য, জুলুমের শিকার অসহায় মানুষের পাশে থেকে দুদক, বাংলাদেশ পুলিশ এবং ঊর্ধ্বতন সরকার প্রশাসনের সহায়তায় কাজ করে যাবে আমাদের এই সংগঠন। ৩। খাদ্যঃ অনেক পঙ্গু এবং প্রতিবন্ধী বা অভাবী আছেন যাদের কাজের ব্যাবস্থা করা সম্ভব। যেমন একটি সেলাই মেশিন কিনে দেয়া, বা ব্যবসায় সহায়তা করা, এদের সহায়তা করার জন্যেই আমাদের এই খাদ্য বিভাগ। যার কাজ হবে খুঁজে খুঁজে এই মানুষগুলোর খাদ্য সুনিশ্চিত করা। ৪। কর্মসংস্থানঃ দেখুন কর্মসংস্থানের অভাব আমাদের দেশের অনেক বড় একটি সমস্যা। তবে আমরা যদি মনে প্রাণে চাই তবে সহজেই তা দূর করা সম্ভব। আমাদের এই সংগঠন থেকে দরিদ্র যুবকদের ব্যবসায় পুঁজি এবং অনলাইনে কাজে তথা বিভিন্ন ব্যাবসায়িক প্রশিক্ষণ দিয়ে তাকে প্রতিষ্ঠিত হতে সহায়তা করা হবে।
তিনি আরো বলেন, আপাতত আমরা করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রনে জনসচেতনতা তৈরির পাশাপাশি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য প্রদান করে যাচ্ছি। বর্তমান দুর্যোগ ব্যাবস্থার উন্নতি হলে আমরা আমাদের অন্যান্য কাজ শুরু করব। আমাদের বিশ্বাস যদি আমরা একটু সচেতন হই তাহলে আমাদের সমাজটা অনেক সুন্দর হবে। তাই আমরা বলি, “তুমি আমি বদলে গেলে, বদলে যাবে বাংলাদেশ।”
আপনি কি আমাদের কাছে লেখা পাঠাতে চান?
তাহলে মেইল করুনঃ [email protected]